মো: আবু দারদা খান
মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য মিয়ানমার নেত্রী অং সান সূচী ও সেনা প্রধান মিন অং হাইয়াং এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জন্য
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার এখন সময়ের দাবী। তারা বিশ^জন মততে উপেক্ষ করে মিয়ানমারে জাতিগত নিধন করেছে। যা সভ্য জগতে অকল্পনীয়। নাড়া দিয়েছে বিশ্ববিবেক কে। তাদের এই ববোরোচিত কাজ কোন ভাবেই ক্ষমা করা যায়। তার মাত্র কয়েটি অপরাধর জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার হওয়ার জন্য যথেষ্ট। যার মধ্যে, রাখাইন প্রদেশের মংডু, বুচিডং, রাচিপং টাউনশীপ/ জেলার ১২ লক্ষ সংখ্যালঘু রোহিংগা মুসলিম জনগোষ্টি কয়েক শতাব্দী ধরে বসবাস করছে। অথচ তাদের জীবন্ত অবস্থায় নগ্ন করে টুকরা টুকরা করে, কখনো বা জীবন্ত পুড়িয়ে আবার নারী-পুরুষের স্পর্ষকাতর অঙ্গকে বিচ্ছিন্ন, ধর্ষন করে পৈচাশিকতার নজীর বীহিন ধৃষ্টাতা প্রদর্শন করেছে। পাশাপাশি ঘরবাড়ি জ¦ালিয়ে পুড়িয়ে তাদের দেশ ছাড়া করেছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট থেকে ১৯ সেপ্টম্বর ২০১৭ পর্যন্ত ৪ লাখের অধিক রহিঙ্গা নিজ দেশ থেকে বাংলাদেশে আসলেও সুচির না জানার ভান করা। অথচ সূচীর ১৯/০৯/১৭ তারিখের রহিঙ্গাদের দেশ ত্যাগের বিষয়টি উঠে আসে। কিন্তু মিয়ানমার জান্তা যে শুধু মাত্র মুসলিম নিধন ও বাংলাদেশকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে নেমেছে এটার প্রমান মেলে গিলাইং এর দাবী থেকে। তাদের প্রতিবেদনে উঠে আসে মিয়ানমাওে রহিঙ্গা নামে কোন কালে কোন জনগোষ্টীর উল্লেখ ছিলোনা। আবার বুদ্ধের অসহিংস নীতি পদদলিত করে সূচী গনহত্যা চালিয়ে বৌদ্ধ ধর্মকে ভ’লষ্ঠিত করার পাশাপাশি তারা অর্ন্তজাতিক আইনও অমান্য করে।
বাংলাদেশ উদীয়মান একটি সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে মাথা চাড়া দিয়েছে। কিন্ত রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশকে দুর্বল করতে নির্যাতন চালিয়ে রহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে বাধ্য করছে। এতে বাংলাদেশর উপর বাড়তি সমস্যার কারণে অর্থিক, বাসস্থান ও নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটবে। তাদের ধারনা মতে এত করে বাংলাদেশের উন্নয়ন বাধা গ্রস্থ হবে। কিন্তু তাদের পরিকল্পনাকে ভ’ল প্রমান করে মানবাতাবাদী দেশ হিসেবে বিশ্বে স¦কৃতি লাভ করে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে চলেছে।
সর্বপরি মিয়ানমার তথা সূচী’র নিষ্ঠুরতার কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার এখন সময়ের দাবী।
