নাগরিক প্রতিবেদক: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নির্বাচনের দরজা অপরাধী ছাড়া সকলের জন্য খোলা রয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে মামলায় সাজা ভোগ করছেন তাতে দশ বছর সময় পার হয়েছে। যত রকমের আইনি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তা তিনি গ্রহণ করেছেন। আদালত তড়িঘড়ি কোনো রায় দেননি।
রোববার সংসদের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে বিকেল পৌনে ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। হাসানুল হক ইনু বলেন, কারও সাজাকে শর্ত করে নির্বাচনের অংশগ্রহণের বিষয়ে দরকষাকষি চলতে পারে না। নির্বাচন দরকষাকষির বিষয় নয়। অন্তর্ভুক্তির নির্বাচন সব দলের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। তবে, গণতন্ত্রের নামে আসামি, অপরাধী, হত্যা-খুনের আসামি-দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে হালাল করে না। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে অপরাধীর অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যপ্রবাহের বিস্তারে গোটা দেশকে আমরা একটি কাচের ঘর তৈরি করে দিয়েছি। এখানে কোনো কিছু আড়াল করার জায়গা নেই। পত্রিকা বলুন আর টিভি বলন, যা ইচ্ছা তাই স্বাধীনভাবে বলছে, লিখছে। বিএনপির লোকরা প্রতিরাতে টকশোতে এমনভাবে কথা বলছেন যেন দেশে সরকার নেই।’ তিনি বলেন, সরকার সমালোচনাকে ভয় পায় না। বর্তমান সরকারের ভালো গুণ হচ্ছে ভুল শুধরে নেয়। পদক্ষেপ নেয়। সেজন্য দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে কেউ রেহাই পায় না। যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ওঠে তাদের দুদক ও আদালতের বারন্দায় হাঁটতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, অশান্তির শক্তিগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি ও খালেদা জিয়া রাজনীতির মাঠে রয়েছে। মানুষ মনে করে যতই ভোল পাল্টাক, নির্বাচনের জন্য মায়াকান্না করুন না কেন তিনি কিন্তু বদলাননি। শোধরাননি।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরে পরে বিএনপি নামের বিষবৃক্ষ রোপণ করেছিলেন। খালেদা জিয়া তা সার-পানি দিয়ে বড় করেছেন। এই বিষবৃক্ষ রেখে গণতন্ত্রের বাগান সাজানো চলে না। বিএনপি নামক বিষবৃক্ষ নিয়ে গণতন্ত্র নিরাপদ হতে পারে না।
ইনু বলেন, অনেকে ইনক্লুসিভ নির্বাচনের কথা বলেন। নির্বাচন ও আদালতের দরজা সবার জন্য খোলা। কাউকে জোর করে নির্বাচনের বাইরে রাখা হচ্ছে না। কাউকে জোর করে আদালতে সাজা দেওয়া হচ্ছে না। বিএনপি ইচ্ছামতো নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ইচ্ছামতো নির্বাচন বর্জন করে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির এজেন্ডা হচ্ছে নির্বাচনকে বানচাল করে অস্বাভাবিক সরকার আনা। এ জন্য সহায়ক সরকার প্রস্তাব মাঠে রাখা হয়েছে। তাদের সহায়ক সরকারের কোনো রূপরেখা নেই। সংবিধানে এই বিধান নেই। এই সহায়ক সরকারের প্রস্তাব নির্বাচন বানচালের একটি উছিলা মাত্র। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সাজা। এই সাজাকে উছিলা করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা শুরু হয়েছে।