নাগরিক ডেস্ক: ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ফাইনাল ম্যাচে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ২২২ রানের টার্গেট দিয়েছে সফরকারী শ্রীলংকা। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২২১ রানে অলআউট হয় লংকানরা।
লিগ পর্বের চার ম্যাচেই টস ভাগ্যে জিতেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু ফাইনালে শ্রীলংকার বিপক্ষে টস লড়াইয়ে জিততে পারেননি ম্যাশ। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন শ্রীলংকার অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল।
দলে তিনটি পরিবর্তন এনে ফাইনাল শুরু করে বাংলাদেশ। লিগ পর্বের শেষ ওয়ানডেতে শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলা ওপেনার এনামুল হক বিজয়, দুই অলরাউন্ডার নাসির হোসেন ও আবুল হাসান শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে সুযোগ পাননি। তাদের পরিবর্তে ফাইনালে সুযোগ পান মোহাম্মদ মিথুন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ।
বল হাতে বাংলাদেশের ইনিংস শুরু করেন মিরাজ। তার প্রথম ডেলিভারিতেই বাউন্ডারি মারেন শ্রীলংকার ওপেনার দানুস্কা গুনাথিলাকা। অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। মিরাজের বলেই আউট হন গুনাথিলাকা। ১১ বলে ৬ রান করে ফিরেন তিনি।
দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর শ্রীলংকার হাল ধরেন আরেক ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ও কুশল মন্ডিস। উইকেট সেট না হয়েই মারমুখী রুপ নেন মেন্ডিস। মিরাজের তৃতীয় ওভারে প্রথম চার ডেলিভারিতে ৬, ৪, ৬, ৬ রান তুলে নেন মেন্ডিস। তার এমন মারমুখী ব্যাটিং বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিলো না। পরের ওভারেই বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফির বলে আউট হন মেন্ডিস। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় মাত্র ৯ বলে ২৮ রান করেন মেন্ডিস।
দলীয় ৪২ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর শ্রীলংকাকে বড় জুটি এনে দেন থারাঙ্গা ও উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকবেলা। এজন্য বেশ সর্তক ছিলেন তারা। উইকেট ধরে রাখাতেই মনোযোগ ছিলেন শ্রীলংকার দুই ব্যাটসম্যান। এ জুটির কল্যাণেই ২২তম ওভারের প্রথম বলে শ্রীলংকার স্কোর শতরানে পৌঁছায়।
